নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর এলাকায় ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে ডাকাত-ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা। ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের হাতে এবার সর্বস্ব হাড়িয়েছে মালায়শিয়া ফেরত কুমিল্লা জেলার জুয়েল।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২ টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পিরোজপুর এলাকার শুকতারা সিএনজি ফুয়েল ষ্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার আব্দুল জাব্বারের ছেলে জুয়েলের সাথে কথা বলে জানা যায়, চার বছর পর মালায়শিয়া থেকে সে দেশে আসেন। গতকাল মদনপুর জাহিন গামের্ন্টে আগুন লাগার পর বিকেল থেকে মহাসড়কে দীর্ঘ জ্যামের সৃষ্টি হয়। সেই যানঝট পেরিয়ে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে শুকতারা পেট্রাল পাম্পের সামনে পৌচ্ছালে ডাকাতরা তার গাড়িতে হানা দিয়ে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়।
জুয়েল রানা বলেন, দেশীয় অস্ত্র হাতে ৮-১০ জন ডাকাত হঠাৎ আমাদের গাড়ি ঘেরাও করে ভয় দেখিয়ে আমার ভিসা লাগানো পাসপোর্ট, হাফ-ডাউন টিকেট, ৮০ হাজার টাকা সমমূল্যের রিঙ্গিতসহ মানিব্যাগ, এনড্রয়েড মোবাইল ও উপহার সামগ্রীর পুটলি নিয়ে যায়।
ডাকাতি হওয়া গাড়ির ড্রাইভার আমির হোসেন বলেন, আধা কিলোমিটার জ্যাম ঠেলে যখন শুকতারা পাম্পের সামনে এসে জ্যাম এ গাড়ি আটকে গেল তখন এই ঘটনা ঘটে। আমার সাথে থাকা ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার আইডি ও টাকা পয়সা সব নিয়া গেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জুয়েল বাদী হয়ে সোনারগাঁ থনায় লিখিত অভিযোগে করেন। পরে শুক্রবার ভোর ৪টায় সোনারগাঁ থানার এসআই সুজন তাদেরকে মেঘনা কাউন্টার পর্যন্ত পুলিশ প্রহরায় এগিয়ে দেন।
মহাসড়কে চলাচলকারী চালকসহ সংশ্লিষ্ট ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মহাসড়কে ইদানীং ডাকাতি বেড়েছে।
দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে দিনে-রাতে প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি যানবাহন চলাচল করে। অথচ ডাকাত চক্রের কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে না পণ্যবাহী গাড়ি থেকে শুরু করে যাত্রীবাহী বাস, কার, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিকশার চালকরা। তবে ডাকাতদের সবচেয়ে বেশি টার্গেট বিদেশ ফেরত গাড়ির উপর।
হাইওয়ে রেস্টুরেন্টে কর্মরতরা বলেন, রাস্তায় জ্যাম লাগলেই অহরহ ডাকাতির খবর শোনা যায়।
তবে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ জানান, জ্যামের সময় আমরা মহাসড়কেই ছিলাম। ডাকাতরা মনে হয় সৃযোগ বুঝে ডাকাতি করে পালিয়ে যায়।